উকুন দূর করার ২টি ঘরোয়া উপায় ।
হ্যালো বন্ধুরা আশা করি তোমরা সকলে খুব ভালো আছো । আজকের বিষয়টি হলো কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে মাথার উকুন দূর করা যায় । তোমাদের মাঝে আজ আমি উকুন দূর করার বিষয় ২টি টিপস এন্ড ট্রিকস শেয়ার করতে যাচ্ছি । আশা করি সকলে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়বে । তো চলো আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক ,
উকুন দূর করার ২ টি ঘরোয়া উপায় নিয়ে আজকে এই আর্টিকেল এ আলোচনা করব :
১/ প্রথমে বলব একটি ওষুধের নাম যেটা একবার ব্যবহার করলে মাথার সমস্ত উকুন মারা যাবে।
২/কিন্তু অনেকেই আছেন যারা ওষুধের থেকে প্রাকৃতিক ভাবে দূর করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য রয়েছে দ্বিতীয় উপায় শুধুমাত্র চুল ভিজিয়েই উকুন নির্মূল করা।
এই তিনটা পদ্ধতি জেনে নিয়ে যেইটা আপনার ক্ষেত্রে সুবিধা হয় সেটি প্রয়োগ করবেন।
১) উকুন ধ্বংসের ওষুধ : উকুন ধ্বংসের অনেকগুলো ওষুধ রয়েছে । কিন্তু আমি এখানে যে ওষুধটি উল্লেখ করবো সেটি আপনি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন । ওষুধের নাম হচ্ছে আই ভার্মাটিভ লোশন ০.৫ % । এই ওষুধটি বাজারে কিনতে পাবেন এল আইস এবং ভিকনিল নামে দাম হবে ১৩০ থেকে ২০০ টাকার মতো । যারা ভারত কিংবা আমেরিকা থেকে কিনবেন তারা এই নামে কিনতে পারবেন ।
ঔষধ এর ব্যবহার বিধি : ছয় মাস কিংবা তার বেশি বয়সীরা এই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারবেন । শুকনো অবস্থায় প্রথমে মাথার তালুতে ওষুধটা লাগাবেন তারপর চুলের গোড়া থেকে আগ পর্যন্ত ওষুধটা লাগাবেন । এই ধাপটা খুব গুরুত্বপূর্ণ পুরো মাথার তালু এবং সবগুলো চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত যেন ওষুধটা ভালোভাবে মাখানো হয় । ওষুধ লাগানোর পর ঘড়ি ধরা 10 মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মাথা ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন । মাথায় কোন প্রকার শ্যাম্পু কিংবা সাবান দিবেন না । চুল শ্যাম্পু করতে চাইলে অন্তত 24 ঘণ্টা পর করবেন । সাধারণত এই ওষুধটা একবার লাগালেই মাথার সব উকুন মারা যায় । এই ওষুধটির কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই বল্লেই চলে এবং এই ওষুধটা উকুন মারার জন্য খুবই নিরাপদ । এই ওষুধটার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে খুশকি হওয়া এবং মাথার চামড়ায় হাল্কা জ্বালাপোড়া করা কিন্তু এটা স্থায়ী না কিছুক্ষণ পর ঠিক হয়ে যাবে। যারা গর্ভবতী রয়েছেন তারা এই ওষুধটা ব্যবহার করবেন না । এবং খেয়াল রাখতে হবে ওষুধটি প্রয়োগ করার সময় চোখে ভেতর না যায়।
2/চুল ভিজিয়ে উকুন দূর করা : উকুন দূর করার জন্য আমরা অনেকেই উকুনের চিরুনি ব্যবহার করি। কিন্তু আচরানোর পরে দেখা যায় কিছুদিন পর আবার মাথায় উকুনে ভরে গেছে। এমন হওয়ার কারণ হলো উকুনের চিরুনি দিয়ে আমরা বড় উকুন গুলোকে আচরে ফেলে দিই কিন্তু ওই বড় উকুন গুলিতে যে ডিম পেরে রেখেছে সেগুলো কিন্তু চুলেই থেকে যায় । আর এই উকুনের ডিমগুলো ফুটে বের হতে সাত দিনের মতো সময় লাগে আবার সেই বাচ্চা সাত দিনের ভেতর বড় উকুন এ পরিবর্তন হয়ে আবার নতুন করে ডিম পাড়া শুরু করে। এইভাবে মাথায় আবার উকুন এ ভরে যায় এই চক্র টা ভাঙতে দুই সপ্তাহে প্রতি তিনদিন পর পর ভেজা চুল এ উকুনের চিরুনি ব্যবহার করে মাথা ভালো ভাবে আঁচরাতে হবে ।
এখন আপনার প্রশ্ন থাকতে পারে কি দিয়ে চুল ভেজাবেন । এই কাজটি করার জন্য তেল কিংবা পানি দিয়ে ভালোভাবে চুল ভেজাতে পারেন । প্রতিবার চুল আঁচড়ানোর পর চিরুনি থেকে উকুন গুলো ফেলে দিন ।
এবার আসেন যাক যে সমস্ত ভুলের জন্য আমরা উকুন তাড়াতে ব্যর্থ হই ।
১/বাসার সবার মাথা চেক করতে হবে কার কার মাথায় উকুন রয়েছে। যার যার মাথায় গোপন রয়েছে তাদের একই সাথে একই দিনে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
২/ যার মাথায় উকুন রয়েছে তার চিরুনি ব্রাশ ইত্যাদি প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
৩/ উকুনের চিকিৎসা শুরু করার দুইদিন আগে বিছানার চাদর,বালিশের কাভার ইত্যাদি। যেখানে উকুন লেগে থাকতে পারে সেই সমস্ত জিনিসগুলো দশ মিনিট গরম জলে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে দিন ।
Doctor Tasnim Jara
আজকের আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করছি। এরকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।