উক্ত রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায় । কিভাবে হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয় ?

 
হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায়,উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়,হাই প্রেসার কমানোর উপায়,উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়,উচ্চ রক্তচাপ,ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায়,উচ্চ রক্তচাপ কমানোর খাবার,প্রেসার কমানোর উপায়,প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়,হাই প্রেসার কমানোর উপায়,উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায়,হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়,হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়,প্রেসার কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি,হাই ব্লাড প্রেসার চির বিদায়,হাই ব্লাড প্রেশার,উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়

উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি করনীয় ? কিভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায় !

উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হাই ব্লাড প্রেসার এই রোগটা কিভাবে ঘরোয়া উপায় প্রতিকার করা যায় সেই সকল বিষয় গুলো ঘিরে আজকের এই আর্টিকেল। আশাকরি আপনার এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন । তাহলে হাই ব্লাড প্রেসার কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন সেই বিষয়ে একটি ধারণা পেয়ে যাবেন । চলুন  আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক,


কিভাবে হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয় : আমাদের শরীরের সকল রক্তনালী গুলো রাবারের মতো প্রয়োজনে প্রসারিত এবং সংকুচিত হতে পারে । কিন্তু যদি এই রক্ত নালীগুলো শক্ত হয়ে যায় তাহলে এগুলো সঠিকভাবে প্রসারিত হতে পারে না । সঠিকভাবে প্রসারিত না হতে পেরে রক্ত চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয় এবং এই বাধা সৃষ্টির জন্যই দেখা দেয় হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ । এছাড়াও হাই ব্লাড প্রেসার বাড়ার আরো কিছু সূক্ষ্ম কারণ রয়েছে ।


হাই পেশার বেড়ে গেলে শরীরে কি কি সমস্যা সৃষ্টি হয় : 

১/ উচ্চ রক্তচাপের ফলে রক্ত নালীগুলো ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যেতে পারে । রক্তনালী গুলোর তেল পাতলা হয়ে ফুলে উঠতে পারে এমনকি ফুলে ওঠার ফলে রক্তনালী চিরে যেতে পারে । এই চিরে যাওয়ার ফলে ব্রেইনে মারাত্মক রক্তক্ষরণ হতে পারে । এই একই সমস্যা পেটের রক্তনালি তেও হতে পারে।


২/ রক্তনালীতে চর্বি জমা : সুস্থ স্বাভাবিক রক্তনালির দারগায় কখনো চর্বি জমতে দেয় না। তবে উচ্চ রক্তচাপ রক্তনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তখন রক্তনালির গায়ে চর্বি কোলেস্ট্রল এবং ক্যালসিয়াম জমতে শুরু করে । আস্তে আস্তে চর্বি জমার পরও হয় রক্তনালী সরু হয় । কিছু কিছু সময় দেখা যায় যে চর্বির গায়ে এসে রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। এক পর্যায় দেখা যায় যে রক্তনালীর মুখ পুরোটাই বন্ধ হয়ে যেতে পারে । এবং এই রক্তনালীর মুখ বন্ধ হওয়ার ফলে রক্ত আর সামনে আগাতে পারে না যার ফলে ব্রেন স্টোক এবং হার্ট অ্যাটাক হতে পারে । যখন ব্রেনের রক্তনালীর মুখ গুলো বন্ধ হয়ে যায় তখন হয় ব্রেন স্টোক। একইভাবে হার্টে রক্তনালী যখন পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে তখন হয় হার্ট অ্যাটাক । এছাড়া হাই প্রেশার দীর্ঘদিন থাকলে আরো অনেক গুরুতর সমস্যা হতে পারে যেমন : হার্ট দুর্বল ,কিডনি জনিত সমস্যা ,দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা দেখা দেওয়া ইত্যাদি ।


৩/ উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে উপরে যে দুটি সমস্যা সৃষ্টি কথা তুলে ধরা হয়েছে সেগুলোর থেকেও মারাত্মক সমস্যা হলো এর নীরবতা । মূলত মানুষের শরীরে যখন উক্ত রক্তচাপ বেড়ে যায় তখন এর কোন লক্ষণ দেখা যায় না । মানুষের শরীরে যখন উচ্চ রক্তচাপ এর সৃষ্টি হয় তখন তার শরীরে কোন প্রকার ব্যথা বিঘ্ন দেখা যায় না  এর ফলে অনেকেই এই হাই ব্লাড প্রেশার এর উপর নজর দেয় না । 

যার ফলে হাই ব্লাড প্রেসার মানুষের শরীরকে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত করতে থাকে এমন কি এক পর্যায়ে শরীরে মারাত্মক ব্যাধির সৃষ্টি হয়।


 এখন আসা যাক কিভাবে হাই ব্লাড প্রেসার কমানো যাবে :  শুরু করার প্রথমেই আসি খাবারের কাছে , হাই প্রেসার থাকলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না ?


হাই পেশার কমাতে কি কি খাবার খাওয়া যাবেনা সেই খাবার সমূহের  তালিকা :


১/ লবন : দিনে কতটুকু লবণ খাচ্ছেন সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন । যা চামচের থেকে দিনে ⅕ চা চামচের থেকে একটু কম লবন খাবেন । গবেষণায় দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ মানুষ নিজের অজান্তে অতিরিক্ত মাত্রায় লবণ খাচ্ছে । যদি আপনি একজন উচ্চ রক্তচাপের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এটি অনেক রিক্স হয়ে যাচ্ছে । তাই আপনি যত লবণ কম সেবন করবেন ততো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ।


২/ তেল চর্বি বা ফ্যাট জাতীয় খাবার : সব মিলিয়ে দিনে তিন থেকে চার চা চামচের বেশি তেল খাওয়া যাবে না । সেটা হোক মাছ মাংস কিংবা রাস্তার কোন ভাজা খাবারের সাথে । নিজেকে উচ্চ রক্তচাপ থেকে সুস্থ করে তুলতে তেল ও মাংসের চর্বি ইত্যাদি খাওয়া যাবেনা । এবং নিজেকে যত পারেন ভাজা খাবার থেকে দূরে রাখবেন ।


৩/ চিনি : সারা সপ্তাহের খাবারের ভেতর যেন দুই থেকে পাঁচ  চামচের কম চিনি থাকে । চিনি কিংবা মিষ্টি খেলে সুগার এবং কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে তাছাড়াও অতিরিক্ত চিনি খাওয়া হাই প্রেসার রোগের জন্য ক্ষতিকর ।


এই ছিল রক্তচাপ হলে কি কি খাবার পরিহার করতে হবে ,


এবার আসা যাক উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি খাবেন : কিছু কিছু খাদ্যে পটাশিয়াম থাকে যেগুলো উচ্চ রক্তচাপ কমায় ।

 কোন খাবারে পটাশিয়াম থাকে এবং কিভাবে পটাশিয়াম খাবেন তার  তিনটি উপায় নিচে তুলে ধরা হলো : 

১/দিনে চার থেকে পাঁচটা মাঝারি সাইজের ফল খাবেন। যদি আপনি একবারে এতগুলো ফল খেতে না পারেন তাহলে  একটু একটু করে বাড়ান  । আপনি হয়তো দিনে এক বা তার কম ফল খান তাহলে  চেষ্টা করবেন  আপনি আগামী এক সপ্তাহে প্রতিদিন দুইটা করে ফল খাবেন । সেই অনুযায়ী ফল কিনে রাখেন সকালে নাস্তায় একটা ফল খান , অফিসের ব্যাগে এ করে একটি ফল নিয়ে যান যাতে ক্ষুধা লাগলে ফলটি খেতে পারেন। পরের সপ্তাহে সংখ্যাটা আরো বাড়ান ।


২/ দিনে দুই থেকে আড়াই কাপ কাঁচা বা রান্না করা সবজি খান । এটাও আগের মতই অল্প অল্প করে পরিবর্তন করুন । যদি আপনি একেবারে সবজি না খান তাহলে সিদ্ধান্ত নিন আগামী এক সপ্তাহ একবেলা আপনি এক কাপ সবজি খাবেন ।  ফল এবং শাক সবজিতে প্রাকৃতিকভাবেই পটাশিয়াম রয়েছে । এই শাকসবজি আপনার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে । আর হ্যাঁ পটাশিয়াম বাড়ানোর জন্য ভুলেও পটাশিয়াম ট্যাবলেট সেবন করবেন না এতে হিতে বিপরীত হবে।


৩/ দুধ এবং দই : ভুল করেও মিষ্টি দই খাওয়া যাবে না কারণ । দিনে দুই থেকে তিন কাপ প্রাকৃতিক দুধ কিংবা টক দই খেতে পারেন এক কাপের মাপ হবে ২৫০ এম এল এর মত ।


এতক্ষণ যে খাবার গুলো বেশি খেতে বললাম তার উদ্দেশ্য হলো স্বাস্থ্যের জন্য অপকারী খাবার কমিয়ে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী খাবার গুলো বেশি খাবেন । ধরেন আপনি নাস্তায় তিনটে সিঙ্গারা খেতেন কিন্তু এখন একটা দুইটা সিঙ্গারা কমিয়ে একটা সিঙ্গারা এবং একটা কলা খাবেন । 


উপরে যে নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে এগুলো শুধু মাত্র উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য প্রযোজ্য । যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপের সাথে অন্য কোন রোগ থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন ।


Doctor Tasnim Jara 


আজ আর্টিকেলটা এখানে শেষ করছি । এরকম আরো স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন ।

ধন্যবাদ







Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url